বর্ধমান সমন্ধে প্রতিবেদন রচনা

বর্ধমান সমন্ধে প্রতিবেদন রচনা 

বর্ধমান সমন্ধে প্রতিবেদন রচনা
বর্ধমান সমন্ধে প্রতিবেদন রচনা 

০ বর্ধমান ০ 

সীমানা:  

উত্তরে বীরভূম, পূর্বে নদিয়া, পশ্চিমে বাঁকুড়া ও দক্ষিণে হুগলি জেলা। 


আয়তন: 

৭,০২৪ বর্গকিমি। 


জনসংখ্যা: 

(২০১১) ৭৭,১৯,৬১৮ জন। 


জনঘনত্ব: 

৯৮৫ জন। 


সাক্ষরতার হার : 

সমগ্র জেলায় শিক্ষিতের হার ৭১.০০ শতাংশ। (পুৱষ ৭৯.৩০ শতাংশ।) বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়টি (স্থাপিত - ১৯৬০) ছাড়াও পলিটেকনিক কলেজ আছে ৫টি, আই.টি.আই ১টি ও জনিয়র টেকনিক্যাল স্কুল ৩টি এখানে অবস্থিত। 


কষিফসল: 

বর্ধমান জেলাকে বলা হয় পশ্চিমবঙ্গের "শস্যাগার"। জেলার ৫৪ শতাংশ মানুষ কৃষির সঙ্গে যুক্ত। ধান ও দুধ উৎপাদনে পশ্চিমবঙ্গের দ্বিতীয়, ডিম উৎপাদনে পঞ্চম, আলু উৎপাদনে প্রথম স্থান অধিকার করে আছে। এছাড়াও আখ, পাট ও ডাল চাষ হয়। 


প্রধান প্রধান নদী:  

বাঁকা, ব্ৰায়ণী, অজয়, দামােদর, খড়ি, কুনুর, ভাগীরথী-হুগলি। 


খনিজ দ্রব্য: 

কয়লা ও লােহা। 


মহকুমার সংখ্যা:

 (১৯৯৮) ৬টি—বর্ধমান উত্তর, বর্ধমান দক্ষিণ, দুর্গাপুর, আসানসােল, কালনা, কাটোয়া।

 

জেলা সদর: 

বর্ধমান। 


রেলপথ: 

পূর্ব রেলপথের প্রধান শাখা ছাড়াও এই রেলপথ হাওড়া-বর্ধমান কর্ডলাইন, দক্ষিণ-পূর্ব রেলপথে আসানসােল-আদ্রা, হাওড়া-কিউল এবং হাওড়া-বারহারােয়া শাখা দিয়ে যুক্ত। 


লােকসভা আসন: 

৪টি—বর্ধমান পূর্ব বর্ধমান-দুর্গাপুর, আসানসােল।  


বিধানসভা আসন: 

২৬টি—বরবনি, হিরাপুর, কুলটি, রানিগঞ, উখড়া, জামুরিয়া, আউসগ্রাম, কাঁকসা, গলসি, বর্ধমান উত্তর, বর্ধমান দক্ষিণ, ভাতার, খণ্ডঘােষ, জামালপুর, রায়না, মেমারি, _ নাদানঘাট, কালনা, মন্তেশ্বর, কাটোয়া, মঙ্গলকোট, কেতুগ্রাম। 


গ্রাম পঞ্চায়েত: 

(১৯৯৯) ২৭৭টি। 


পঞ্চায়েত সমিতি: 

(১৯৯৯) ৩১টি। 


থানা ও ব্লক: 

থানা ৩০টি ও ব্লক ৩১টি। 


পুরসভা: 

কাটোয়া, দাঁইহাট, কালনা, রানিগঞ্জ, আসানসােল, বর্ধমান, গুসকরা, মেমারি, কুলটি, দুর্গাপুর ও জামুরিয়া। 


দর্শনীয় স্থান: 

এই জেলায় মনসাপুজো খুব বেশি হয়। কারণ মনসামঙ্গলের ‘চম্পক নগরী ছিলএই জেলার বুদবুদ থানায়। এছাড়াও কাশিরাম দাসের জন্মভূমি সিঙ্গিগ্রাম, নজরুল ইসলামের জন্মস্থান চুরুলিয়া, মুকুন্দ চক্রবর্তীর দামুন্যা, সাধক কমলাকান্তের কালনা ও ড: উপেন্দ্রনাথ ব্রয়চারীর জন্মভূমি জামালপুর বিশেষ উল্লেখযােগ্য। এছাড়া বর্ধমানের রাজবাড়ি ও কার্জনগেট দ্রষ্টব্য স্থান।



• অজয় ও দামােদর নদীর মধ্যবর্তী অঞ্চলই বর্ধমান।

 

• এই জেলার প্রধান নদী অজয় ও দামােদর। শীত-গ্রীষ্মে খরা হলেও বর্ষায় নদীগুলি ভয়ংকর হয়ে ওঠে। এখানে কোনার নদীতে বাঁধ, দামােদরের উপর মাইথন বাঁধ দিয়ে বন্যা নিয়ন্ত্রণ, সেচের কাজ এবং বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হয়। 


• এই জেলায় পশ্চিমাংশের মাটি রুক্ষ ও উর্বর ল্যাটেরাইট ও গন্ডােয়ানা শিলা দ্বারা গঠিত।


• ১৯৩১ সালে বার্নপুর ও কুলটিতে লৌহ-ইস্পাত কারখানা ও অণ্ডলে রেলওয়ে কলােনি স্থাপিত হয়। 


• ধান উৎপাদনে এই জেলা পশ্চিমবঙ্গে প্রথম। এছাড়া আলু, আখ, ডাল প্রভৃতি ফসল উৎপন্ন হয়। প্রচুর শস্যের জন্য এই জেলাকে পশ্চিমবঙ্গের শস্য ভাণ্ডার’ বলে। 


• এই জেলার নিঙ্গা ও পানাগড়ের কাছে বিরতিহাতে যথাক্রমে মালবাহী ও বিশেষ যাত্রীবাহী বিমান অবতরণক্ষেত্র আছে। 


• কবি কুমুদরঞ্জন মল্লিক বাস করতেন অজয় নদীর তীরে কোগ্রামে। কবি ও সাহিত্য সমালােচক কবিশেখর কালিদাস রায় এই জেলার মানুষ ছিলেন। বাংলায় মহাভারত রচয়িতা কাশীরাম দাসের জন্ম কাটোয়ার সিঙ্গিগ্রামে। শ্রীকৃষ্ণুবিজয় কাব্যের রচয়িতা মালাধর বসুর জন্ম কুলীনগ্রামে; ভারতবর্ষীয় উপসম্প্রয়দায় গ্রন্থের রচয়িতা অক্ষয়কুমার দত্তের জন্ম পূর্বস্থলীর চুনীগ্রামে। কবি রঙ্গলাল বন্দ্যোপাধ্যায় এই জেলার বিখ্যাত ব্যক্তি।


Tags

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.